ওয়েব ডেস্ক: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) অধীনে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় এ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আগামী ৪ জুন বিকেলে ‘স্টোর কিপার’ ও ‘ক্যাশিয়ার’ পদের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে এ পরীক্ষা স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মাউশি।
মাউশির উপ-পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) ও বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব মো. রুহুল মমিন স্বাক্ষরিত নোটিশে পরীক্ষা স্থগিতের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
তবে মাউশির একটি সূত্র বলছে, হঠাৎ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে একবার এ পরীক্ষার তারিখ দিয়েও শেষ পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
পরীক্ষা স্থগিত করার নোটিশে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর প্রকাশিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ক্যাশিয়ার/স্টোর কিপার (পদ কোড : ৩১৮ ), ক্যাশিয়ার (পদ কোড : ৩২০) এবং স্টোর কিপার (পদ কোড : ৩২১) পদে আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো।
উল্লিখিত পদগুলোর পরীক্ষার পুনর্নিধারিত তারিখ ও সময় পরবর্তীতে প্রার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএস প্রদানসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে এবং জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছর অক্টোবর মাসে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার শিক্ষা অফিস এবং সরকারি স্কুল-কলেজের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২৮টি পদের বিপরীতে চার হাজার ৩২টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাউশি। এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এরই মধ্যে এসব পদের জন্য প্রায় নয় লাখ আবেদন জমা পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত নভেম্বর থেকে মাউশি অধিদফতরের একটি সিন্ডিকেট অবৈধ উপায়ে এসব পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে আর্থিক লেনদেন শুরু করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি আঁচ করার পর গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মাউশি থেকে সতর্কতা জারি করা হয়।
সেখানে বলা হয়, গত ২২ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এখন পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি ও দাফতরিক কার্যক্রম চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে প্রতারক চক্র চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আবেদনকারী প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক বলেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই। এজন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। হঠাৎ করে কিছু জটিলতা তৈরি হওয়ায় নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা পিছিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারও সময় নির্ধারণ করে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।